বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, গ্যাসের জন্য সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর (নসরুল হামিদ) বাসার সামনে আমাকে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তার কাছ থেকে অনেক লেকচার শুনতে হয়েছে। ন্যূনতম ইজ্জত পর্যন্ত পাইনি। তারপরও জ্বি স্যার, জ্বি স্যার বলতে হয়েছে। কিছু কিছু মানুষের সিটিস্ক্যান করে তাদের ব্রেইন দেখার ইচ্ছা হচ্ছে আমার। মানুষ কীভাবে এত ক্রিমিনাল হতে পারে।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ শাসনামলে কারখানায় গ্যাস সংযোগের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানায় বিনিয়োগের পর গ্যাস পেতে নিজের টাকায় ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হয়েছে। এই পাইপলাইন নির্মাণে শুধু রাস্তা কাটা বাবদ ২০ কোটি টাকা দিয়েছি। এর বাইরে আরও অতিরিক্ত অনেক টাকা দিতে হয়েছে আমাকে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমি জ্বালানি উপদেষ্টাকে এক মিটিংয়ে বলতে শুনেছি যে, জ্বালানি খাত দুর্নীতির অন্যতম স্তম্ভ। সেখান থেকে আমাদের বের হতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এখন ব্যবসায়ীদের কোনো চাঁদা কিংবা ঘুষ দিতে হবে না। সৎ উদ্যোক্তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখার বিরাট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জ্বালানি খাতের বর্তমানে যে দুর্বলতা রয়েছে তা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পনা (ডিজাইন) করে করা হয়েছে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে বাস্তবতাকে অস্বীকার করার প্রবণতা নেই। সুতরাং আমরা বিদ্যমান সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের দিকেও যেতে পারব বলে আশা করছি। এ জন্য ব্যবসায়ী মহলের সহযোগিতা চান তিনি।
খুলনা গেজেট/কেডি